হাইড্রেশনের যত্ন:
- প্রচুর পানি পান করুন, বিশেষ করে বাইরে বের হলে বা ব্যায়াম করলে।
- ঠান্ডা পানি, ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয়, নারকেলের পানি, তরমুজ বা শসার রস ইত্যাদি পান করুন।
- তৃষ্ণার্ত হওয়ার আগেই পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- চা, কফি এবং অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে।
খাদ্যাভ্যাস:
- হালকা ও সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করুন।
- ভাজা, ঝাল এবং অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল, শাকসবজি এবং সালাদ খান।
- নিয়মিত খাবার খান এবং দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না।
পোশাক পরিচ্ছদ:
- হালকা রঙের, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করুন।
- বাইরে বের হলে টুপি, ছাতা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম:
- প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- রাতে ঠান্ডা ঘরে ঘুমান।
ব্যায়ামের সময়:
- দিনের সবচেয়ে ঠান্ডা সময়ে ব্যায়াম করুন, যেমন সকালে বা সন্ধ্যায়।
- হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়ান।
- ব্যায়ামের সময় পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
অন্যান্য যত্ন:
- বাইরে বের হলে দীর্ঘ সময় সূর্যের সংস্পর্শে থাকবেন না।
- নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন।
- ঘর ঠান্ডা রাখতে পর্দা, পাখা এবং এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
- বয়স্ক, শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের বিশেষ যত্ন নিন।
- অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
- প্রচুর পানি পান করা গরমে সুস্থ থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- বাইরে বের হওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং সূর্যের তীব্রতা এড়িয়ে চলুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- অসুস্থ বোধ করলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এই পরামর্শগুলো মেনে চললে আপনি গরমে সুস্থ থাকতে পারবেন এবং তীব্র গরমের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।