কেন এলার্জি রোগ হয়
এলার্জি রোগ হয় যখন আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুল করে কোন হঠাৎ বা ক্ষতিকর পদার্থকে বিপজ্জনক বলে মনে করে। এই পদার্থগুলোকে অ্যালার্জেন বলা হয়।
কিছু সাধারণ অ্যালার্জেন হল:
- ধুলো, ময়লা
- পরগ রেণু
- পোষা প্রাণীর পশম
- কিছু খাবার
- কিছু ওষুধ
যখন আমরা কোন অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসি, তখন আমাদের শরীর হিস্টামিন নামক রাসায়নিক নিঃসরণ করে। হিস্টামিনের কারণে এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয়।
এলার্জির লক্ষণ বিভিন্ন রকমের হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- চোখে জ্বালাপোড়া, চুলকানি, লালাভাব
- নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া
- কাশি, হাঁপানি
- ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, লালভাব
- পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব
এলার্জি ভালো করার উপায়
এলার্জি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। তবে, লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা এবং জীবনের মান উন্নত করা সম্ভব।
এলার্জি ভালো করার কিছু উপায় হল:
- অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আপনার যদি কোন অ্যালার্জেনের প্রতি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে যতটা সম্ভব সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
- ওষুধ: অ্যান্টিহিস্টামিন, নাসাল স্প্রে, কর্টিসোন ক্রিম ইত্যাদি ওষুধ এলার্জির লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
- ইমিউনোথেরাপি: এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা যা শরীরকে অ্যালার্জেনের প্রতি অভ্যস্ত করে তোলে।
আপনার এলার্জি সম্পর্কে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার অ্যালার্জি নির্ণয় করতে এবং সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারবেন।