চুলের খুশকি দূর করার উপায় কী
শুষ্ক মাথার ত্বক: পর্যাপ্ত তেল বা আর্দ্রতা না থাকলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে খুশকি দেখা দিতে পারে।
ম্যালাসেজিয়া ছত্রাক মাথার চর্মে আবাস করে এবং সাধারণত খুশকির একটি প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় |
অন্যান্য কারণ: ত্বকের রোগ যেমন একজিমা বা সোরিয়াসিস, কিছু ওষুধ, মানসিক চাপ, ঋতু পরিবর্তন ইত্যাদি।
চিকিৎসা:
ঘরোয়া উপায়:
নারকেল তেল: সপ্তাহে দু'বার নারকেল তেল ব্যবহার করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
দই: টক দই মাথায় লাগিয়ে 10 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রস: লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে 15 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আদা: আদা বাটা মাথায় লাগিয়ে 30 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
মেথি: মেথি রাতভর ভিজিয়ে সকালে পেস্ট করে মাথায় লাগিয়ে 1 ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শ্যাম্পু:অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু: নিয়মিত অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
স্যালিসিলিক অ্যাসিড: স্যালিসিলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
জিনক পাইরিথিন: জিনক পাইরিথিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
কেটোকোনাজোল: কেটোকোনাজোল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
অন্যান্য টিপস:
নিয়মিত চুল ধোয়ার চেষ্টা করুন: বেশি দিন চুল না ধোয়া খুশকির সমস্যা বাড়াতে পারে।
গরম পানিতে চুল না ধোয়া: গরম পানি মাথার ত্বক শুষ্ক করে খুশকির সমস্যা বাড়াতে পারে।
চুল আঁচড়ানো এড়িয়ে চলুন: বারবার চুল আঁচড়ানো মাথার ত্বকে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি বাড়িয়ে খুশকির সমস্যা বাড়াতে পারে।
সুস্থ থাকুন: সুষম খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুমান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
মানসিক চাপ কমিয়ে: মানসিক চাপ খুশকির সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই যোগব্যায়াম, ধ্যান ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
যদি ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হয়, তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
মনে রাখবেন: খুশকি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যান। যদি আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়া, লালভাব, ফোলাভাব বা ব্যথা থাকে, তাহলে দ্রুত একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।